শনিবার, ৫ই জুলাই, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:৫৬

৪৪তম বিসিএসের ফল পুনর্মূল্যায়ন ও পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

প্রতিবেদক
staffreporter
জুলাই ৫, ২০২৫ ২:১৩ অপরাহ্ণ
৪৪তম বিসিএসের ফল পুনর্মূল্যায়ন ও পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

৪৪তম বিসিএসের ফল পুনর্মূল্যায়ন ও পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কাঠামোগত সংস্কার এবং ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে শুক্রবার শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোলনকারীরা “পিএসসির কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”, “জুলাই এসেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে”, “নিশিরাতের ফলাফল মানি না, মানবো না”—এমন সব স্লোগানে পরিবেশ মুখর করে তোলেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে, যাতে কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন বলে জানা গেছে। পরে তারা টিএসসি এলাকায় ফিরে গিয়ে সেখানে সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে নানা অনিয়ম ও বৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে, যেগুলো তদন্ত ও সংশোধন না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তাদের দাবি, একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার একই ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন, যা নতুনদের প্রতি অবিচার। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪৩০টি নতুন পদ বরাদ্দ দেওয়া হলেও উপদেষ্টার কার্যালয় তা বাতিল করেছে বলে দাবি করেন তারা, যা অদৃশ্য হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ তোলেন।

আন্দোলনকারীরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর প্রকাশ, ক্যাডার পছন্দ সংশোধনের সুযোগ এবং নন-ক্যাডার নিয়োগে স্বচ্ছতা চেয়ে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, ৪৪তম বিসিএসের প্রক্রিয়ায় সাড়ে চার বছর সময় নষ্ট হয়েছে, অথচ ফলাফলে রয়েছে স্পষ্ট অনিয়ম ও পক্ষপাত।

এক শিক্ষার্থী বলেন, “পিএসসির সংস্কার মানে প্রশ্নফাঁস, স্বজনপ্রীতি ও অদৃশ্য হস্তক্ষেপের অবসান।” তারা সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তাদের ৪টি প্রধান দাবি হলো—

১. ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত সব পদে পুনঃসুপারিশ, এবং চয়েস লিস্টের নিচের ক্যাডারে সুপারিশ বাদ দিয়ে ফল পুনরায় প্রকাশ।
২. নন-ক্যাডার বিধি ২৩ বাতিল/সংশোধন, এবং ভাইভায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যাকে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে চাকরি।
৩. প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ এবং লিখিত পরীক্ষার খাতা পিএসসিতে বসে মূল্যায়নের ব্যবস্থা; ভাইভা সর্বোচ্চ ১০০ নম্বরের মধ্যে সীমিত রাখা।
৪. সব পরীক্ষার আগে প্রস্তুতির জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া এবং প্রয়োজনে বিশেষ বিসিএস আয়োজন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা রাজপথেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি