যুদ্ধবিরতির পর গত ৩ দিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে ২ হাজার ৪ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক। জাতিসংঘের সহায়তা প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা মুহান্নাদ হাদি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার একদিনেই ৮৯৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। এর আগের দুই দিন—সোমবার ৬৩০টি এবং রোববার ৯১৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছিল।
ত্রাণবাহী এসব ট্রাকের মধ্যে ৫০টি ছিল জ্বালানিবাহী। বাকি ট্রাকগুলোতে ময়দা, শাকসবজি, মাংস, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এবং তাঁবু ছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের ফলে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ ছিল দীর্ঘ ১৫ মাস। ২২ লাখ মানুষের বসবাস করা গাজায় মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
১৫ মাসের এই অভিযানে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকাগুলোতে মানবিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছিল। তবে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে চুক্তির শর্তানুযায়ী আগামী ছয় সপ্তাহের প্রতিদিন গাজায় অন্তত ছয়টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে। জাতিসংঘের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ৩ দিনে ত্রাণবাহী ট্রাকের কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি, যদিও কিছু এলাকায় শিশু ও স্থানীয়রা ত্রাণ নিতে গিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি করেছিল।
যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে গাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও মানবিক সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।