বাংলাদেশের প্রবাসী সম্প্রদায়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে গঠিত হলো জাতীয় নাগরিক কমিটি। ৩০টি দেশের ৭৫ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই কমিটির মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১.৫ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সম্পদকে দেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের কাজে লাগানো। প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক এবং সাংস্কৃতিক সংযোগকে আরও গভীর করাও এই কমিটির অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়াও, জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তাদের ভোটাধিকারের পক্ষেও কাজ করবে এই কমিটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দীর্ঘদিন ধরে একটি ধারণা প্রচলিত ছিল যে মেধাবী, শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ রাজনীতিতে আসে না। কিন্তু জুলাই বিপ্লব সেই ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে। আজ আমরা দেখছি, পেশাদার এবং দক্ষ ব্যক্তিরা রাজনীতিতে এগিয়ে আসছেন এবং দেশ পুনর্গঠনে অবদান রাখতে চান।” এই কমিটিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, নিউরোসার্জন, একাডেমিশিয়ান, ডেটা অ্যানালিস্ট, কর্মী, ইমাম এবং ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তাদের সকলেরই একটিই লক্ষ্য—বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের চালিকা শক্তি ছিল এর মানুষ, এবং এই প্রবাসী কমিটি সেই শক্তিরই একটি সম্প্রসারণ। তারা শুধু প্রবাসে বসে দেশের জন্য চিন্তা করেন না; তারা দেশের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।”
এই কমিটির গঠন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীরা এখন তাদের মেধা, দক্ষতা এবং সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।