পোশাক শিল্প ছাড়াও ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স খাতে বৈচিত্র্য আনতে সক্ষম হওয়ায় ২০৩৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২১তম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)। অবকাঠামো উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান জনমিতিক লভ্যাংশের ফলে দেশের অর্থনীতিতে এই প্রবৃদ্ধি আসবে।
সিইবিআরের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ৬০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমানে ৪৩৪ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৭তম বৃহৎ অর্থনীতি, যা আগামী ১৫ বছরে ১৬ ধাপ এগিয়ে ২১তম স্থানে পৌঁছাবে।
তবে মাথাপিছু জিডিপিতে দেশটি এখনও অনেক পিছিয়ে থাকবে। ২০৩৯ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ৮,০৬১ ডলার, যা বিশ্বের তালিকায় ১২৩তম। একই সময়ে সুইজারল্যান্ডের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১,৫৬,৭৭৩ ডলার, যা বাংলাদেশের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেন এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো জিডিপির আকারে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও মাথাপিছু জিডিপিতে বিশাল ব্যবধান থাকবে। মালদ্বীপ ২০৩৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মাথাপিছু জিডিপিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখবে, আর বাংলাদেশ ভারতে এক ধাপ এগিয়ে থাকবে।
সিইবিআর’র প্রক্ষেপণ অনুসারে, ২০৩৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে থাকবে। ভারত তখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইঙ্গিত দেয়, দেশটির প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়ছে।