মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| সকাল ৬:৫১

২০২৬ সালে ডব্লিউএইচও ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের ঘোষণা

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ২৪, ২০২৫ ৮:০০ অপরাহ্ণ
২০২৬ সালে ডব্লিউএইচও ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের ঘোষণা

২০২৬ সালে ডব্লিউএইচও ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের ঘোষণা

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা শাসনামলে গৃহীত সিদ্ধান্তের অংশ।

ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, সদস্যপদ প্রত্যাহারের জন্য এক বছরের নোটিশ দিতে হয়। জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক জানান, ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি পাঠানো নোটিশ অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশে ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ট্রাম্প প্রশাসন ডব্লিউএইচওর আর্থিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সব মার্কিন কর্মী প্রত্যাহার করেছে।

ডব্লিউএইচওর সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যার অনুদান সংস্থার তহবিলের ১৮ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত ডব্লিউএইচওর বৈশ্বিক স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলোর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যক্ষ্মা, এইচআইভি/এইডস এবং মহামারির মতো বড় সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক মহলে অনেকে মনে করছেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ডব্লিউএইচওর জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, কারণ সংস্থাটি এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে নির্ভরশীল ছিল।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ

ম্যানচেস্টার সিটির ড্র, হালান্ডের রেকর্ড

ম্যানচেস্টার সিটির ড্র, হালান্ডের রেকর্ড

ইতিহাসের এই দিনে (৩০ জুন, ২০২৫)

ইতিহাসের এই দিনে (২৫ জানুয়ারি, ২০২৫)

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের অমীয় স্বাদ—ফলের রাজা আম। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই সহ ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে আমের প্রাকৃতিক মিষ্টতা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে থাকে দুশ্চিন্তা—আসলে তাঁরা আম খেতে পারবেন কিনা। এই বিষয়ে ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা একেবারেই আম খেতে পারবেন না—এমন ধারণা সঠিক নয়। বরং শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সামঞ্জস্য রেখে আম খাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, সকালের নাশতায় যাঁরা তিনটি রুটি খান, তাঁরা একটি রুটি বাদ দিয়ে একটি আম খেতে পারেন। আবার যারা চিড়া খান, তাঁরা পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আম যুক্ত করতে পারেন। রাতের খাবারে অনেকেই আম দিয়ে দুধ-ভাত খেতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে নেওয়া উচিত এবং এই খাবারটি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করা ভালো। কারণ রাতে ক্যালোরি খরচের সুযোগ কম থাকে। অন্যদিকে, সকালে আম খেলে সারাদিনের কাজে সেই ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। পাকা আম খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০–৬০ গ্রাম আম খেতে পারেন, অর্থাৎ একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম। বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান, আম লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন একটি ফল, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ স্ন্যাকস হতে পারে। এতে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে ছন্দা সতর্ক করে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটির বেশি আম না খাওয়াই ভালো। কারণ আমের মিষ্টি উপাদান রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার পর ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাও জরুরি। সুতরাং, ডায়াবেটিস থাকলেও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ও সময় জেনে আম খাওয়া যেতে পারে—বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

আরএফএল গ্রুপে ম্যানেজার পদে নিয়োগ, আবেদন চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত

আরএফএল গ্রুপে ম্যানেজার পদে নিয়োগ, আবেদন চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত, শীর্ষে চীনসহ আরও যারা

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত, শীর্ষে চীনসহ আরও যারা

ইতিহাসের এই দিনে

ইতিহাসের এই দিনে (২৭ নভেম্বর, ২০২৪)

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ক্যাপস্টোন কোর্স ২০২৫/১ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ক্যাপস্টোন কোর্স ২০২৫/১ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

“বাংলাদেশে স্টারলিংক আনতে মাস্কের সঙ্গে ইউনূসের বিশেষ আলোচনা!”