বলিউডে "চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে" দিয়ে আত্মপ্রকাশ করা জায়েদ খান একসময় পরবর্তী বড় তারকা হিসেবে বিবেচিত হলেও, তার ক্যারিয়ার দ্রুতই পতনের মুখে পড়ে। শাহরুখ খানের সঙ্গে "ম্যায় হুঁ না" ছবিতে তার দ্বিতীয় প্রধান চরিত্রে অভিনয় বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও, এটি ছিল তার একমাত্র বড় সফলতা। এরপর একাধিক ব্যর্থ ছবিতে কাজ করলেও, নিজের বুদ্ধিমত্তা ও ব্যবসায়িক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি এক বিস্ময়কর সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
সঞ্জয় খানের পুত্র এবং ফেরোজ খানের ভাতিজা জায়েদ ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। "ম্যায় হুঁ না" এবং "দুস" এর মতো ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে সফলতা পেলেও একক হিরো হিসেবে কখনোই নিজের অবস্থান শক্ত করতে পারেননি। ২০১৫ সালে তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি "শরাফত গয়ি তেল লেনে" ও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।
ক্যারিয়ারে একের পর এক ব্যর্থতার পর, জায়েদ অভিনয় ছেড়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। নিজের সঞ্চয় ও ডিগ্রির ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজের সম্পদ বহুগুণে বাড়িয়েছেন।
২০২৪ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, জায়েদ খানের নেট সম্পদ ১৫০০ কোটি টাকা, যা রণবীর কাপুর, প্রভাস, এবং রাম চরণের মতো তারকাদের থেকেও বেশি। যদিও এই সংখ্যা নিয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি, তবে তার জীবনযাত্রা এবং ব্যবসায়িক সাফল্য এই তথ্যের সত্যতা প্রমাণ করে।
জায়েদ তার আর্থিক কৌশল সম্পর্কে বলেন, মানুষের উচিত "নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা"। সামাজিক মাধ্যমে দেখানোর চাপকে তিনি "ভয়ানক এবং অপরাধমূলক" বলে অভিহিত করেন। তার মতে, আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকার জন্য সাবধানী সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে জায়েদ তার অভিনয়ে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
জায়েদ খানের এই যাত্রা প্রমাণ করে যে ব্যর্থতা কোনো বাধা নয়, বরং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশলে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।