একটা ছোট তুলনা দিয়েই শুরু হোক। ২০২৫ আইপিএলে ৯ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস পাওয়ারপ্লেতে হাঁকিয়েছে মাত্র ৫ ছক্কা। অথচ মাত্র তিন ইনিংসে, সেটাও কেবল পাওয়ারপ্লেতেই, বৈভব সুর্যবংশী আদায় করেছেন ১০ ছক্কা! এমন বিধ্বংসী শুরুতেই নিজের জাত চিনিয়েছেন মাত্র ১৪ বছর বয়সী এই বিস্ময় বালক।
তবে সবচেয়ে বড় রূপকথাটা রচিত হয়েছে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে। রাজস্থানের হয়ে ওপেন করতে নামা বৈভব যেন ঝড় তুললেন ব্যাটে। মোহাম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মা কিংবা রশিদ খান—কেউই তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি। মাত্র ৩৫ বলে পূর্ণ করলেন সেঞ্চুরি, যা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত কম বয়সে শতরান আর কেউ করেননি।
রাজস্থান রয়্যালসও পেয়েছে এক অনন্য রেকর্ড। ২০০-এর বেশি রানের টার্গেট তাড়ায় টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে কম বল খেলেছে তারা—মাত্র ১৫.৫ ওভারে। গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ২১০ রানের বিশাল লক্ষ্যকে তছনছ করে দেয় বৈভবের নেতৃত্বাধীন ব্যাটিং লাইনআপ। এর আগে ২০১৮ সালে সারে ১৬ ওভারে মিডলসেক্সের ২২২ রান এবং ২০২৪ সালে ব্যাঙ্গালুরু ১৬ ওভারে গুজরাটের ২০১ রান তাড়া করেছিল। সেই তালিকাতেই এবার সবার ওপরে রাজস্থান।
তবে এ সাফল্যের কৃতিত্ব একা বৈভবের নয়। তার ওপেনিং সঙ্গী যশস্বী জয়সওয়াল ৪০ বলে ৭০ রান করে বড় ভুমিকা রাখেন। আর শেষদিকে ১৫ বলে ৩২ রানে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিয়ান পরাগ।
দিনশেষে, ম্যাচের আলো কেবল এক নামেই আলোড়িত—বৈভব সুর্যবংশী। ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে শতরান করে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। এতদিন এই রেকর্ড ছিল বিজয় জোলের নামে, যিনি ২০১৩ সালে ১৮ বছর বয়সে শতরান করেছিলেন। কিন্তু বৈভবের কীর্তি শুধু রেকর্ড নয়, যেন এক ভবিষ্যতের ঝলক।
আপনি কি মনে করেন বৈভব আগামীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এমনই ঝড় তুলতে পারবেন?