১২ দেশ থেকে ১৩১ পাকিস্তানিকে বিতাড়িত
গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ১৩১ জন পাকিস্তানিকে বিশ্বের ১২টি দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক পাচার, চুরি, মানব পাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার কারণে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিবাসন সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি ৭৪ জন পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ নোটিশ ছাড়া চাকরি ছেড়ে পালিয়েছিলেন, আবার অনেকেই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতেও অবৈধ অনুপ্রবেশ, চুরি এবং মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানিকে আটক করার পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনকি আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে একজন পাকিস্তানিকে দেশছাড়া করেছে আমিরাত সরকার।
এছাড়া, ওমান, ক্যাম্বোডিয়া, বাহরাইন, আজারবাইজান, ইরাক, মেক্সিকো, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়া থেকেও বেশ কয়েকজন পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মানব পাচারের অভিযোগে সেনেগাল ও মৌরিতানিয়া দুই পাকিস্তানিকে বের করে দিয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া এসব পাকিস্তানির মধ্যে ১৬ জনকে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) মানব পাচারবিরোধী সার্কেলে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে লারকানা, কালাত, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরানওয়ালা ও শাহিওয়াল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও বিভিন্ন কারণে ৮৬ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছে। তাদের নথিপত্র সঠিক ছিল না বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের বহিষ্কারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে অনেক পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন খাতে পাকিস্তানের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বৈধ ভিসার শর্ত লঙ্ঘন ও অবৈধ কার্যকলাপের কারণে পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিবাসন নীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।