বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার পক্ষ থেকে তাকে ফেরত নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগসহ একাধিক গুরুতর মামলা রয়েছে।
গত গ্রীষ্মে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়, সরকারি বাহিনী অন্তত ১ হাজার বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরেই হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে ১৫ বছরের শাসনকালে একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা তিনি অস্বীকার করেছেন। গত মাসে বাংলাদেশের জনগণ তার বিচারের জন্য রাস্তায় বিক্ষোভ করে, ফলে সরকার তার প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠায়।
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায়ও হাসিনার নাম উঠে এসেছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন (এনআইসি) জানিয়েছে। ৭০ জনেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিল ওই ঘটনায়, এবং কমিশন এখনও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে, তবে তার বিরুদ্ধে জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত যদি হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তবে তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিরোধিতা করবে।
তবে, আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এবং ভারতীয় কূটনৈতিক দ্বিধা হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে ফেরত আনার জন্য আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হতে পারে। ভারতের জন্য, হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তই হবে সঠিক পদক্ষেপ।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড