দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশন নামের প্রতিষ্ঠানটি গঠন করে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ‘জোরপূর্বক উপঢৌকন’ সংগ্রহ করার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সূচনা ফাউন্ডেশনের অফিসের ঠিকানায় দুদক অভিযান চালানোর পর কোনো ‘অস্তিত্ব মেলেনি’।
দুদকের উপ পরিচালক আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুতুলের প্রতিষ্ঠানের কর মওকুফসহ বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের নথি সংগ্রহ করতে তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও অভিযান চালিয়েছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক নওশাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ধানমন্ডির সূচনা ফাউন্ডেশনের অফিসে গিয়ে তাদের অভিযানে অংশ নেয়।
সূচনা ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালে গড়ে উঠেছিল, এবং এটি মানসিক প্রতিবন্ধিতা, স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কাজ করত। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন।
দুদক জানিয়েছে, পুতুল ‘অবৈধভাবে’ বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে উপঢৌকন নিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ‘অবৈধ প্রভাব বিস্তার’ করে ফাউন্ডেশনের জন্য পাওয়া অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন, যা সরকারের জন্য ‘বিপুল অর্থের ক্ষতি’ হয়েছে।
এছাড়া, পুতুলের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে তার নামে অবৈধভাবে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দের অভিযোগে মামলা। দুদক এই মামলায় পুতুল, তার মা শেখ হাসিনা এবং আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পুতুল এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক। তবে দুদক অভিযোগ করেছে যে, শেখ হাসিনা মেয়েকে তার রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সঙ্গে নিয়ে গেছেন, এবং পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগে ‘অযোগ্যতা’ ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন অস্বচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।