হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানে সাফল্যের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দুই দিন পর, বুধবার এক টেলিফোন আলাপে রুবিও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুচ এক বিবৃতিতে জানান, হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনায় ইসরায়েলের সফলতার প্রশংসা করেছেন রুবিও। তিনি বলেন, গাজায় বন্দি থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েলকে পূর্ণ সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার ঐতিহ্যবাহী সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয় যে, ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার। ফোনালাপের সময় রুবিও এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকার ইসরায়েলকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাসের সংঘর্ষের পর, গত রোববার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বন্দি মুক্তি এবং কারাবন্দীদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুদ্ধবিরতিকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে হামাস এবং হিজবুল্লাহকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেশটির কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
এর আগে, গত বছরের শেষ দিকে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি আলোচনার কথা জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, এবং জিম্মি উদ্ধার অভিযানের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বরাবরই দৃঢ়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল কৌশলগত অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই ঘটনার পর, হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে। পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।