ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘর্ষের অবসানে হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। কাতারের দোহায় গত সাতদিন ধরে চলা গোপন আলোচনার মধ্য দিয়ে যেকোনো মুহূর্তে চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন এ চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, "গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইসরাইল ও হামাস খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আশা করছি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই এ চুক্তি চূড়ান্ত হবে।"
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানান, "যদি এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তাহলে জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হবে।" তিনি আরও বলেন, "কখনও আশা হারাতে নেই। অবশেষে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আমরা একসঙ্গে একটা ফলপ্রসূ সমাধানের দিকে এগোচ্ছি।"
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মতে, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার আলোচনা অনেক বেশি অগ্রসর হয়েছে। এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী।"
এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তিটি তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে, ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে বন্দি সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। আর তৃতীয় এবং শেষ ধাপে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চুক্তির চূড়ান্ত বাস্তবায়ন কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ই বলে দেবে।