২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে হামাস গাজায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গিয়েছিল। এসব জিম্মির মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, নেপালসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিলেন। যুদ্ধবিরতির আওতায় এখন পর্যন্ত হামাস ১৩৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১০৫ থেকে ১০৭ জন জিম্মি মুক্তি পেয়েছিলেন। এর পরও যুদ্ধের মাঝে কিছু জিম্মির মৃত্যু ঘটেছে, তাদের মৃতদেহ ইসরায়েলকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজার ভেতরে এখনও ৬১ জন জিম্মি থাকার কথা বলা হচ্ছে, যার মধ্যে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সেনারা। যেসব জিম্মি এখনও জীবিত আছেন, তাদের মধ্যে ৫ জনের মধ্যে ৩ জন থাইল্যান্ড, ১ জন নেপাল এবং ১ জন তানজানিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় দীর্ঘ ১৬ মাসের রক্তাক্ত সংঘাতের পর, ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস সম্প্রতি আরও ৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রায় এক দশক ধরে বন্দি ছিলেন। এর মধ্যে আভেরা মেনজিসটু ও হিশাম আল-সাইয়েদ নামে দুজন বেসামরিক নাগরিক গাজায় দীর্ঘকাল ধরে বন্দি ছিলেন।
যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপের সময় ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও, চলমান আলোচনা ও চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা বিলম্বিত হয়েছে, বিশেষত নেতানিয়াহু প্রতিনিধিদের পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোর পর।