স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ, বিল পরিশোধ, অনলাইন কেনাকাটা, টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে বিনোদন—সবই সম্ভব এক ডিভাইসে। এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটি সুরক্ষিত রাখতে স্ক্রিন প্রোটেক্টর এবং ব্যাক কাভার ব্যবহার একটি সাধারণ অভ্যাস। তবে এই প্রোটেক্টরগুলো কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষত কার্ভড স্ক্রিনের জন্য ব্যবহৃত ইউভি-কিওর্ড টেম্পার্ড গ্লাস প্রোটেক্টর স্মার্টফোনের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব প্রোটেক্টর এজ-টু-এজ কভারেজ দিলেও ভুল ইনস্টলেশন বা নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করলে ফোনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মার্টফোন নির্মাতা ভিভো সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে, ইউভি গ্লু ব্যবহারের কারণে ফোনের কার্যক্ষমতা এবং ব্যবহার অভিজ্ঞতা নষ্ট হতে পারে।
ইউভি গ্লু প্রোটেক্টরের সম্ভাব্য ক্ষতি:
স্পিকার ব্লক: ইউভি গ্লু স্পিকারের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে, ফলে শব্দ কম শোনা যেতে পারে বা শব্দ বিকৃত হতে পারে।
বাটনের ম্যালফাংশন: প্রোটেক্টর লাগানোর সময় গ্লু সাইড বাটনে ঢুকে গেলে বাটন আটকে যেতে পারে বা সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
এয়ার বাবলের সমস্যা: প্রোটেক্টর ইনস্টলেশনের সময় যদি এয়ার বাবল তৈরি হয়, তবে তা রিসিভার বা বাটনের কার্যকারিতায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সিম ট্রে আটকে যাওয়া: ইউভি গ্লু সিম ট্রেতে প্রবেশ করলে সিম ঢোকানো বা বের করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। এতে ফোনের সিলিং রিং নষ্ট হয়ে ডিভাইসের পানি প্রতিরোধ ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি থাকে।
ব্যাটারি কাভার ও ক্যামেরা ফ্রেম ক্ষতিগ্রস্ত: ইউভি গ্লু লেদার ব্যাটারি কাভার এবং ক্যামেরা ফ্রেমও নষ্ট করতে পারে।
এছাড়া, অননুমোদিত স্থানে স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানোর ফলে যেকোনো ক্ষতি ফোনের গ্যারান্টির আওতায় পড়বে না। নির্মাতারা সতর্ক করেছেন, ব্যবহারকারীদের উচিত মূল প্রোটেকটিভ ফিল্ম ব্যবহার করা।
সতর্কতা:
মানসম্পন্ন স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা জরুরি।
প্রোটেক্টর ইনস্টল করার সময় দক্ষ ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত।
ইউভি গ্লু জাতীয় উপাদান এড়িয়ে চলা ভালো।
যথাযথ পদ্ধতি মেনে প্রোটেক্টর ব্যবহার করলে স্মার্টফোনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব, অন্যথায় এই ক্ষুদ্র ডিভাইসটি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।