স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ইতালিয়ান সুপার কাপ ইউরোপীয় ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এগুলো নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবে। বুধবার স্প্যানিশ সুপার কাপের বার্সেলোনা-অ্যাথলেটিক বিলবাও ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্টের এবারের আসর। এর ফাইনালসহ সব ম্যাচই হবে সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি মাঠে।
সৌদি আরবে আয়োজনের কারণ
২০১৯ সালে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও সৌদি আরব সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ২০২১ সালে আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রতিবছর স্প্যানিশ সুপার কাপ সৌদি আরবে আয়োজন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরব প্রতি বছর আরএফইএফ-কে ৪ কোটি ১৩.৫০ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০২ কোটি টাকারও বেশি।
সৌদি আরবের মূল লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা এবং ক্রীড়াখাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করা। ফুটবলের মতো বৈশ্বিক খেলায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তারা ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনাকেও এগিয়ে নিতে চায়। তবে সমালোচকেরা একে 'স্পোর্টসওয়াশিং' বলে অভিহিত করেন।
পরিবর্তনের দিক
স্প্যানিশ সুপার কাপ সৌদি আরবে সরিয়ে আনার পর থেকে এটি দুই দলের পরিবর্তে চার দলের টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। লা লিগা ও কোপা দেল রের আগের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপরা এতে অংশ নেয়। একইভাবে ইতালিয়ান সুপার কাপও সৌদি আরবে আয়োজন শুরু হওয়ার পর দুই দলের পরিবর্তে চার দলের হয়ে গেছে।
অর্থনৈতিক দিক
সৌদি আরব থেকে আয়োজক ফুটবল ফেডারেশনগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ আয় করছে। এটি কেবল টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ সৌদি আরবের লাভের বিষয় নয়, অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোও এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
মোটের ওপর, সৌদি আরব ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে কাজ করছে। স্পেন ও ইতালির সুপার কাপ আয়োজনের মাধ্যমে তারা ক্রীড়াজগতে নিজেদের উপস্থিতি আরও দৃশ্যমান করছে।