সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ১৭ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরে দুই দফায় এ পুশইনের ঘটনা ঘটে।
১৯ বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল বাগছড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের জালিয়াখলা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন ১৩০১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের কাছ থেকে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে পাওয়া যায়। বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (এফডিএমএন) বলে স্বীকার করেন।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন পুরুষ, চারজন নারী এবং ছয়জন শিশু। তারা জানান, টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৫-৬ বছর আগে পালিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন।
এরপর শুক্রবার (২৮ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী সীমান্তের ১২৮২/৮ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ১৭ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ। ৪৮ বিজিবির মিনাটিলা বিওপির টহল দল তাদের আটক করে। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী এবং সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, আটক ১৭ জনকে আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। একইভাবে, ১৪ রোহিঙ্গাকেও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুবায়ের আনোয়ার পিএসসি।
বারবার সীমান্ত দিয়ে এমন পুশইনের ঘটনায় সীমান্ত নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।