সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘সরাসরি যোগাযোগ’ যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির ক্ষমতা দখলকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন, যা এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যোগাযোগের প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। তবে, এই গোষ্ঠী এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রয়েছে।
ব্লিনকেন জানান, বিশেষ করে নিখোঁজ মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসের বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া, জর্দান, আরব দেশ, তুরস্ক এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সমর্থন জানানো হয়েছে।
বৈঠকের শেষে একটি যৌথ বিবৃতিতে সিরিয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়, যা সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করবে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য আশ্রয়স্থল হবে না। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, সিরিয়ার বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংরক্ষণ ও সংস্কার করতে হবে এবং সন্ত্রাসবাদকে কখনো সুযোগ না দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই বৈঠকের মাঝেই ইসরায়েল সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যা আঞ্চলিক নিন্দার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব সিরিয়ায় ইসরায়েলের শতাধিক বিমান হামলার বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
একসময় আল-কায়েদার অংশ থাকা এইচটিএস বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যদিও গোষ্ঠীটি সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি সহনশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের অতীতের জিহাদি কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে।
সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য দেশের ভেতরে ও বাইরে একতা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে, যাতে দেশটির জনগণ তাদের সদ্য অর্জিত স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।【সূত্র: বিবিসি】