সিরিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সৌদির
সিরিয়ার পুনর্গঠন, জাতীয় ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ সফর শেষে শুক্রবার সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি সৌদি আরবের আন্তরিক অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই সফরকে তিনি সিরিয়ার জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
আল-শাইবানি বলেন, “এই অঞ্চলে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক স্বার্থ উন্নত করতে সিরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চায়। এটি আরব দেশগুলোর নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “সৌদি আরব সিরিয়ার জনগণ এবং নতুন প্রশাসনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় অবদান রাখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে।”
সৌদি আরবের এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধ এবং আঞ্চলিক অস্থিরতার ফলে সিরিয়া ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং দেশের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ অবস্থায় সৌদি আরবের সমর্থন সিরিয়ার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের মাধ্যমে সৌদি আরব ও সিরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতাও প্রয়োজন। সৌদি আরবের এই প্রতিশ্রুতি শুধু সিরিয়ার জন্য নয়, বরং গোটা আরব বিশ্বের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।
আল-শাইবানি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়তে চাই যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। এই প্রচেষ্টায় সৌদি আরবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সৌদি নেতৃত্বের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
সৌদি আরবের এই সমর্থন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কেবল দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।