সিরিয়ার ভূখণ্ডে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সিরিয়ার ১৫টি নৌযান, বিমান-বিধ্বংসী ব্যাটারি, অস্ত্র উৎপাদন ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামোতে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয় যে সিরিয়ার আল-বায়দা ও লাতাকিয়া বন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। লাতাকিয়া বন্দরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নোঙর করা ১৫টি জাহাজ এবং বন্দরের একাংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ রোধ করতে সিরিয়াজুড়ে ৩১০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, "আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেকোনো কৌশলগত হুমকি নিশ্চিহ্ন করাই এই অভিযানগুলোর উদ্দেশ্য।" সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংসের ঘটনাকে তিনি "বড় সাফল্য" বলে উল্লেখ করেছেন।
হামলার লক্ষ্যবস্তুতে সিরিয়ার বিমানঘাঁটি, সামরিক যান, বিমান-বিধ্বংসী অস্ত্র, অস্ত্র উৎপাদন ক্ষেত্র এবং অস্ত্রাগার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব হামলা সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা বিদ্রোহীদের হাতে যাওয়ার ঝুঁকি রোধে চালানো হয়েছে বলে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে।
এদিকে, বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে গত রোববার বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটে। টানা ৫৩ বছর আসাদ পরিবার সিরিয়া শাসন করলেও সর্বশেষ ২৪ বছর বাশার আল-আসাদ ক্ষমতায় ছিলেন।
সরকারের পতনের পর বাশার আল-আসাদ ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে রাশিয়ায় পালিয়ে যান। তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া, যেখানে তিনি পরিবারের সদস্যসহ মস্কোয় অবস্থান করছেন।