সিরিয়ায় আসাদ অনুগতদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ৪১
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে। এই সহিংসতা সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে শুরু হয়েছিল, যা এখনও অব্যাহত। প্রেসিডেন্ট আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিদ্রোহের ফলে দেশটি দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি, আসাদের অনুগত বাহিনী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে দামেস্কের নতুন সরকারের প্রতি অনুগত সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লাতাকিয়া প্রদেশের একটি উপকূলীয় এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অবশিষ্টাংশের সাথে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, লাতাকিয়া প্রদেশে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানঘাঁটির কাছে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। পরে সেখানে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনার পর, সরকারি সৈন্যরা জাবলেহ শহরের দিকে বিশাল সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, সরকার-সমর্থিত বাহিনী প্রায় ৭০ আসাদ অনুগত সাবেক সরকারি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং জাবলেহ ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ২৫ জনেরও বেশি যোদ্ধাকে আটক করেছে।
সিরিয়ার এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সহিংসতা বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তবে, রাজনৈতিক সমাধানের অভাবে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে আসাদের অনুগত বাহিনী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। নিহতদের পরিবার ও আহতদের দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সিরিয়ার জনগণের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।