সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থক অন্তত ১৬২ জন বিদ্রোহীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান ওয়ার মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (৭ মার্চ) এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আলাউইত সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, আত্মসমর্পণ না করলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে, আসাদপন্থি বিদ্রোহীরা এই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নতুন সরকারের নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, যাতে বহু হতাহত হয়।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরীয় বাহিনী আলাউইত সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিশাল অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহীদের ধরে ধরে তাৎক্ষণিক হত্যা বা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত অন্তত ১৬২ জন আসাদপন্থি বিদ্রোহীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় অঞ্চলে হঠাৎ করে শুরু হওয়া বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর লড়াইয়ে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগেও সেখানে প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল।
সিরিয়ায় চলমান এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, আসাদপন্থি বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে।
সিরিয়ায় আসাদপন্থি বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও চলমান সহিংসতা দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এই পরিস্থিতিতে, সকল পক্ষের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জরুরি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও হস্তক্ষেপ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।