সিরিয়ায় বিদ্রোহী নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন মোহাম্মেদ আল-বশির। বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগ এবং বিদ্রোহীদের হাতে রাজধানী দামেস্কের পতনের পর এই সরকার গঠিত হচ্ছে।
৪১ বছর বয়সী মোহাম্মেদ আল-বশির এর আগে ইদলিব অঞ্চলে বিদ্রোহীদের ‘ন্যাশনাল সালভেশন কাউন্সিলের’ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) এক সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আল-বশিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এইচটিএস-এর ভিডিওতে দেখা গেছে, আল-বশির সংগঠনের নেতা আহমেদ আল-শারা এবং সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল-জালালির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিদ্রোহীদের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের শর্তে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
মোহাম্মেদ আল-বশিরের জন্ম ইদলিবের জাবাল আল-জাউইয়া শহরে। তিনি আলেপ্পো ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং পরে শরিয়াহ ও আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিদ্রোহী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন মিত্র রাশিয়ার সমর্থনে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদ হঠাৎ করেই বিদ্রোহীদের চাপে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। রোববার ভোরে বিদ্রোহীরা দামেস্কে প্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সিরিয়ার মুক্তির ঘোষণা দেয়।
রাশিয়ার সরকার জানিয়েছে, মানবিক কারণে বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবারকে মস্কোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আসাদ এবং তার বাবার প্রায় পাঁচ দশকের শাসন এক দিনে শেষ হয়ে যাওয়ায় সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে।
এই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে সিরিয়া নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা পাবে বলে আশা করছে বিদ্রোহীরা।