বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে উঠে এসেছে, তিনি গোপনে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের নথি আত্মীয়দের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহীদুল হক তার অবৈধ সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দুটি বড় বস্তায় ভরে এক আত্মীয়ের কাছে পাঠান, যিনি পরে সেগুলো আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে দেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব নথিতে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ রয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালায়। অভিযানে দুটি বস্তা থেকে ৩৮টি গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ মোট ৪৮টি আলামত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সম্পত্তির দলিল, গোপনীয় চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কাগজপত্র, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, বন্ড, এফডিআর রসিদ ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে এসব নথি জব্দ করে দুদক কর্মকর্তারা। সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জব্দ করা কাগজপত্র তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর ভিত্তিতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।