বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাধারণ মানুষ সংস্কার কী বোঝে না। তাদের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো তারা যেন ভোট দিতে পারেন, দেশে যেন শান্তি থাকে, দাম যেন না বাড়ে, চুরি-ডাকাতি যেন না হয়, এবং ঘুষের প্রথা বন্ধ হয়।
রোববার পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছেন এবং মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো অত্যাচার বা নির্যাতন হয়নি, বরং তারা শান্তিপ্রিয় জনগণের অংশ হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করছেন।
তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি পালাবেন না এবং ভয় পাবেন না, কিন্তু তিনি জীবন বাঁচাতে সবাইকে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের পরিণতি প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি এবং বিএনপি তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব”-এমন কথা বলার কারণে কিছু মানুষ অসন্তুষ্ট হন, কিন্তু বিএনপি চায় যাতে জনগণ ভোট দিতে পারে এবং সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তাদের দলের নেত্রী ২০১৬ সালে ‘ভিশন বাংলাদেশ ২০৩০’ প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন। ফখরুল দাবি করেন, ৩১ দফা সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সংস্কারের পথ তৈরি করা যাবে।
এ দিন জনসভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারা, যেমন- ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বেবী নাজনীন, আসাদুল হাবিব দুলু, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমিরসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতা অংশ নেন। জনসভায় নানা ধর্মের এবং বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।