সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আইএফআইসি ব্যাংকের একটি চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন।
মামলায় সাকিব আল হাসান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগমকে।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে বাদী শাহিবুর রহমান এ মামলাটি করেন। অভিযোগে বলা হয়, সাকিবের অ্যাগ্রো ফার্মটি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে বিভিন্ন সময়ে ঋণ নিয়েছিল। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানটি দুটি চেক ইস্যু করে।
তবে, চেকগুলো ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেগুলো ডিজঅনার হয়। এই দুই চেকের মোট পরিমাণ প্রায় চার কোটি পনেরো লাখ টাকা।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সকল আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করলেও তারা রোববার নির্ধারিত তারিখে হাজির হননি। ফলে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে সাকিব আল হাসান কিংবা তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মামলাটি প্রকাশ্যে আসার পর ক্রীড়া অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাকিবের মতো তারকা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এমন মামলা তার ভক্ত ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, চেক ডিজঅনার মামলা ফৌজদারি আইনের আওতায় পড়ে, যেখানে অভিযোগ প্রমাণ হলে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হতে পারে। তবে সাকিবের জনপ্রিয়তা ও তার আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় বিষয়টি নিষ্পত্তির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা।