সাইফ আলি খানের বাসায় হামলার রাতে তৈমুরের সাহসিকতা
বলিউডের নবাব সাইফ আলি খানের বাসায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক দুঃস্বপ্নময় ঘটনায় সবার নজর কেড়েছে তার ৮ বছরের পুত্র তৈমুর আলি খান। বাসায় ডাকাতের হামলায় গুরুতর জখম হন সাইফ, যা সৃষ্টি করে ভয়ংকর এক পরিস্থিতি। তবে সেই রাতেই ছোট্ট তৈমুর দেখিয়েছে বিরল সাহসিকতা।
তৈমুরের সাহসিকতা:
তৈমুরের প্রাক্তন পরিচারিকা ললিতা ডি সিলভা জানান, সাইফকে রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় তৈমুর। তাদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছোট্ট তৈমুর তার বাবাকে একটি অটোতে তুলে হাসপাতালে পৌঁছায়। এত অল্প বয়সে এমন মানসিক দৃঢ়তা ও দায়িত্বশীলতা সবাইকে অবাক করেছে।
ললিতার প্রতিক্রিয়া:
তৈমুরের সাবেক পরিচারিকা ললিতা বলেন, “এই বয়সে তৈমুরের এমন সাহসিকতা আমাকে অবাক করেছে। সে তার বাবার মতোই সাহসী।” ছোটবেলা থেকেই তৈমুরকে লালন-পালন করা ললিতা আরও জানান, তার বাবার প্রতি তৈমুরের ভালোবাসা এবং দায়িত্বশীলতা সত্যিই অসাধারণ।
হাসপাতালে সাইফের অবস্থা:
১৫ জানুয়ারির মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়ে সাইফ গুরুতর জখম হন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সাইফ যখন হাসপাতালে পৌঁছান, তখনও তার পিঠে ছুরির আঘাত রয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট তৈমুরের হাত ধরে বাবার এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে আসা এবং নিজের ভয় কাটিয়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য চিকিৎসকেরাও তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে তৈমুরের সাহসিকতা নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে। নেটিজেনরা তার উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। স্টারকিড হিসেবে শুধু জনপ্রিয়তা নয়, এখন সাহসিকতার উদাহরণ হিসেবেও তৈমুর সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
সাইফ আলি খানের এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার পরেও, তার পুত্র তৈমুরের সাহসিকতা ও মানসিক দৃঢ়তা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। এটি শুধু তাদের পরিবারের জন্য নয়, অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে উঠেছে।