নির্বাচনী প্রচারণা থেকেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির ওপর জোর দেবেন। আর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশকে যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতো, তা বন্ধ করার পর এবার সংস্থাটির ৬০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউএসএইডের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় ইউএসএইড কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো একটি অভ্যন্তরীণ মেমোতে জানানো হয়, সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা করার জন্য কর্মকর্তাদের বেতনসহ প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হয়েছে। মেমোতে ইউএসএইডের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জেসন গ্রে জানান, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যক্রম চিহ্নিত করাই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
বিশ্বজুড়ে মার্কিন আর্থিক সহায়তা স্থগিত রাখার এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়ে দেন, ইসরায়েল ও মিসর ছাড়া অন্য কোনো দেশকে আপাতত সাহায্য দেওয়া যাবে না। আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সহায়তা নীতিমালা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে ইউএসএইড জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ নানা খাতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।