সয়াবিন তেলের বাজারে নৈরাজ্য নিরসনে সরকার প্রতি লিটারে আট টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যা বাস্তবায়নের জন্য তিনটি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাজারে তার কার্যকর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। সয়াবিন তেলের সংকটে ভুগছেন খুচরা বিক্রেতা ও গ্রাহকরা।
বিক্রেতাদের অভিজ্ঞতা
মিরপুরের কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানগুলোতে দেখা গেছে, অনেক বিক্রেতা অর্ডার ও অগ্রিম টাকা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না। নোয়াখালী জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা বাবুল আহমেদ অভিযোগ করেন, তেল কিনতে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে আটা, পোলাও চালসহ অন্যান্য পণ্যও কিনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ ফারজানা ভ্যারাইটিজ স্টোর ও আলিফ ভ্যারাইটিজ স্টোরের বিক্রেতাদের।
মুদি দোকানের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ডিলাররা তেলের ঘাটতি দেখিয়ে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। তবে অনেকের ধারণা, কোম্পানির কাছে পর্যাপ্ত তেল মজুদ রয়েছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ
সয়াবিন তেল কিনতে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অনেকে জানিয়েছেন, বেশিরভাগ দোকানে তেল পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও সঙ্গে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। যারা খালি তেল বিক্রি করছেন, তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
ক্রেতারা মনে করছেন, সংকট সৃষ্টি করে রমজানের আগে তেলের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই অবস্থায় গ্রাহকরা সরকার ও ব্যবসায়ীদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপট
গত ৯ ডিসেম্বর সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ টাকা এবং খোলা তেলের দাম ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে এই দাম যথাক্রমে ১৬৭ এবং ১৪৯ টাকা ছিল। দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তেলের সংকট নিরসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সয়াবিন তেলের বর্তমান সংকট সরকারের বাজার ব্যবস্থাপনা এবং ডিস্ট্রিবিউটর ও কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমের ওপর প্রশ্ন তুলেছে। সংকট সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহক ও বিক্রেতারা।