শেখ হাসিনা-আ.লীগের বিচার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উত্তেজনার মধ্যে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে শুরু করেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বিচারের আগে যারা নির্বাচনের পাঁয়তারা করবে, আমরা তাদের জাতীয় শত্রু ও বেইমান হিসেবে ধরে নেবো। আগে বিচার হবে, তারপর নির্বাচন।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “শেখ হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।” তার মতে, এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, “বিচারের আগে যারা নির্বাচনের পাঁয়তারা করবে, আমরা তাদের জাতীয় শত্রু ও বেইমান হিসেবে ধরে নেবো।”
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন, “নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অচিরেই কোনো জায়গা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সম্ভবত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে, তবে অন্তর্বর্তী সরকার দলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে না, কারণ এটি কোনো রাজনৈতিক সরকার নয়।”
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে, হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা নিয়ে ভারত যে অভিযোগ করছে, তার কোনো সত্যতা মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিশ্চিত করতে পারেনি।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সংগঠনের মন্তব্য ও অবস্থান দেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সবার উচিত সংযম ও বিবেকের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, যাতে দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় থাকে।