শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর
বাংলাদেশের সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা একটি লাইভ বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও, তা প্রচার হলে কঠোর অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’ তার এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়।
এছাড়াও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছে, ‘যেসব মিডিয়া হাসিনার বার্তা প্রচারের দুঃসাহস দেখাবে, তাদেরকে আমরা জাতীয় দালাল হিসেবে চিহ্নিত করবো।’ এই বিবৃতির ফলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর চাপ তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাসনাত আবদুল্লাহর এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে মনে করছেন, এটি বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে দেশে ও বিদেশে বিভিন্নমুখী মতামত রয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও উসকে দিতে পারে। গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সমর্থকরা মনে করছেন, তাঁর বক্তব্য প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা আসলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, সামনের দিনগুলোতে এই ইস্যু নিয়ে আরও আলোচনা ও বিতর্ক তৈরি হতে পারে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি, যেখানে একদিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতে হতে পারে।