শীতের সময় বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলোর মধ্যে একটি হলো গিজার। এটি শুধু গোসলের পানি গরম করতে ব্যবহার হয় না, বরং খাওয়ার পানি গরম করার জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে গিজার ব্যবহার করার সময় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার ফলে তা ঠিকভাবে কাজ না করতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলোকে সামলাতে কিছু মৌলিক পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শীতের আগেই গিজারটি প্রস্তুত রাখা যায়। গিজারের ভেতরে দুটি গরম করার উপাদান থাকে, যেগুলো পানি গরম করে। যদি কোনো কারণে গিজারের গরম করার উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে পানি গরম হবে না, যদিও পাওয়ার সাপ্লাই ঠিক থাকে। এ ধরনের সমস্যা হলে গিজারটির উপাদান মেরামত করতে হবে।
গিজারের আরেকটি সাধারণ সমস্যা হলো থার্মোস্ট্যাটের সমস্যা। থার্মোস্ট্যাট হলো একটি যন্ত্র, যা গিজারের ভেতরে পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এটি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন পানি গরম হয় না এবং ঠান্ডা থাকে। অনেক সময় এটি এমনভাবে কাজ করে, যে তাপমাত্রা নির্ধারিত স্তরে পৌঁছানোর পর পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়, কিন্তু যদি থার্মোস্ট্যাট নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে গিজারের পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পেশাদার মেরামতকারীর সাহায্য নিতে হতে পারে।
গিজারে পানি কম গরম হওয়ার একটি কারণ হতে পারে পাইপে পলি জমা হওয়া বা আউটলেট ভালভে মরচে পড়া। দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর, লবণাক্ত মিনারেল ওয়াটার পাইপে জমা হতে থাকে, যা জলপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এবং পানির চাপ কমিয়ে দেয়। মরচে পড়া পাইপের কারণে গিজারও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এ ছাড়াও, গিজার থেকে হিসহিস শব্দ শোনা গেলে, তা হতে পারে খনিজ জমার কারণে, বিশেষত ট্যাঙ্কের নিচে লবণ জমে গেলে। এর ফলে হিটারটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং শব্দ হতে থাকে। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে গিজারের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
সবশেষে, গিজার থেকে পানি বের হওয়া না হওয়ার কারণ হতে পারে, গিজারের ভেতরে ড্রেন ভালভ আলগা হওয়া অথবা উচ্চ চাপের সৃষ্টি হওয়া। পানির ট্যাঙ্কে মরচে পড়ার কারণে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই, গিজারটি শীতকালের আগে নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় মেরামত বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি, যাতে শীতের সময় কোনো সমস্যা ছাড়াই গিজারটি ব্যবহার করা যায়।