শীতের মৌসুম মানেই গুড়ের তৈরি বাহারি খাবারের স্বাদ। পিঠা, পায়েশ কিংবা গুড়ের চা—শীতের এই উপাদেয় খাবারগুলোর স্বাদ যেমন অতুলনীয়, তেমনি গুড়ের রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে গুড় অনেক বেশি উপকারী, কারণ এটি কম প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং এতে চিনির তুলনায় বেশি পুষ্টি থাকে।
✔ আয়রনের দারুণ উৎস: গুড় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
✔ সহজে হজমযোগ্য: রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না হওয়ায় এটি সহজে হজম হয়।
✔ রক্ত পরিশোধনে সহায়ক: রক্ত পরিষ্কার থাকলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে।
✔ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী: এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
✔ লিভার পরিষ্কার রাখে: গুড়ে থাকা উপকারী খনিজ লিভার পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।
✔ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
✔ ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক: এর অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
✔ বয়স ধরে রাখতে সহায়ক: এতে থাকা ফেনোলিক অ্যাসিড শরীরে অক্সিডেন্ট ও স্ট্রেস কমায়, যা বার্ধক্যের প্রক্রিয়া ধীর করে।
✔ ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস: এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, বি৬ এবং সি, যা সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গুড় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। এতে উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকায় এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত গুড় খেলে ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে গুড় খাওয়াই ভালো।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন