শামীম ওসমান-দস্তগীর গাজীসহ ৪৪ জনের নামে মামলা
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী রোজিনা আক্তার আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। মামলায় শামীম ওসমান ও গোলাম দস্তগীর গাজী ছাড়াও শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ অন্যান্যদের আসামি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংস ঘটনা ঘটে। শামীম ওসমান ও তাঁর সহযোগীদের গুলি ছোড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন।
অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গুলি করার ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু জানান, ভিডিওতে কারা, কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই রাজনৈতিক নেতাদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় শামীম ওসমান ও গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।