মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| ভোর ৫:৫৫

শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে নতুন দিগন্তের অপেক্ষা বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ২, ২০২৫ ১২:০৭ অপরাহ্ণ
শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে নতুন দিগন্তের অপেক্ষা বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে

শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে নতুন দিগন্তের অপেক্ষা বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে

বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। জাতীয় দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

নাজমুল হোসেন শান্ত ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে দল কিছু উল্লেখযোগ্য জয় পেলেও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল স্পষ্ট। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে দলের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।

শান্ত তার সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যক্তিগত ও পেশাদারী কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “দলের স্বার্থে এবং নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়ার জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, নতুন নেতৃত্ব দলের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শান্তর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে এবং তার অবদানের প্রশংসা করেছে। বোর্ডের সভাপতি বলেন, “শান্ত আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার নেতৃত্বে দল কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। আমরা তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং ভবিষ্যতে তার সাফল্য কামনা করি।”

শান্তর পদত্যাগের পর, টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বোর্ডের সূত্রমতে, লিটন দাস এবং আফিফ হোসেনের নাম সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে। তবে, বোর্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি।

শান্ত জানিয়েছেন, তিনি এখন তার ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দিতে চান এবং দলের জন্য সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, “অধিনায়কত্ব ছাড়লেও আমি দলের একজন নিবেদিত সদস্য হিসেবে খেলতে থাকব এবং দলের সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শান্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে, সবাই তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার নেতৃত্বে দল কিছু সাফল্য অর্জন করেছে, তবে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। এখন দেখার বিষয়, নতুন অধিনায়ক দলের পারফরম্যান্সে কী পরিবর্তন আনতে পারেন এবং শান্ত তার ব্যাটিংয়ে কতটা উন্নতি করতে সক্ষম হন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
আজকের খেলা: ৩০ জুন, ২০২৫

আজকের খেলা: ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, এ বছর মৃতের সংখ্যা ৫৫৬ জনে পৌঁছেছে

যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা দিয়ে ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা দিয়ে ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের অমীয় স্বাদ—ফলের রাজা আম। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই সহ ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে আমের প্রাকৃতিক মিষ্টতা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে থাকে দুশ্চিন্তা—আসলে তাঁরা আম খেতে পারবেন কিনা। এই বিষয়ে ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা একেবারেই আম খেতে পারবেন না—এমন ধারণা সঠিক নয়। বরং শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সামঞ্জস্য রেখে আম খাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, সকালের নাশতায় যাঁরা তিনটি রুটি খান, তাঁরা একটি রুটি বাদ দিয়ে একটি আম খেতে পারেন। আবার যারা চিড়া খান, তাঁরা পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আম যুক্ত করতে পারেন। রাতের খাবারে অনেকেই আম দিয়ে দুধ-ভাত খেতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে নেওয়া উচিত এবং এই খাবারটি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করা ভালো। কারণ রাতে ক্যালোরি খরচের সুযোগ কম থাকে। অন্যদিকে, সকালে আম খেলে সারাদিনের কাজে সেই ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। পাকা আম খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০–৬০ গ্রাম আম খেতে পারেন, অর্থাৎ একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম। বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান, আম লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন একটি ফল, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ স্ন্যাকস হতে পারে। এতে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে ছন্দা সতর্ক করে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটির বেশি আম না খাওয়াই ভালো। কারণ আমের মিষ্টি উপাদান রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার পর ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাও জরুরি। সুতরাং, ডায়াবেটিস থাকলেও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ও সময় জেনে আম খাওয়া যেতে পারে—বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

সন্ত্রাস নয়, শান্তির বার্তা দেয় ইসলাম: গর্বিত মুসলিম আমির খানের মন্তব্য

সন্ত্রাস নয়, শান্তির বার্তা দেয় ইসলাম: গর্বিত মুসলিম আমির খানের মন্তব্য

নোয়াখালীতে শ্রমিকদল নেতার খোলস পাল্টে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ

চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

আজকের আবহাওয়া (৩০ জুন, ২০২৫)

আজকের আবহাওয়া (২১ মার্চ, ২০২৫)

গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে বেঙ্গালুরুর প্রথম হার, সিরাজের দাপটে চিন্নাস্বামীতে নীরবতা

গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে বেঙ্গালুরুর প্রথম হার, সিরাজের দাপটে চিন্নাস্বামীতে নীরবতা

৪ পদ রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটির সব সেল বিলুপ্তি

৪ পদ রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটির সব সেল বিলুপ্তি