সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে কারওয়ানবাজারে একদল মানুষ তাকে ঘিরে ধরার পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয় এবং নিরাপত্তার কারণে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, মুন্নী সাহার প্যানিক অ্যাটাক হওয়া এবং তিনি একজন নারী সাংবাদিক হওয়ায় মানবিক বিবেচনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারার আওতায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবারের কাছে মুচলেকা দিয়ে হস্তান্তর করা হয় এবং তাকে আদালতে জামিন আবেদন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় মুন্নী সাহাসহ সাতজন সাংবাদিককে আসামি করা হয়। মামলাটি শিক্ষার্থীর বাবা কামরুল ইসলাম দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হক বাবু, ফারজানা রুপা, এবং শাকিল আহমেদসহ কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জনতা অভিযোগ করেছেন যে বিডিআর বিদ্রোহের সময় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মুন্নী সাহা মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। পুলিশের দাবি, জনতার কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজে ব্যাপক আলোচনা চলছে। মুন্নী সাহার জামিন সংক্রান্ত পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের দিকে সবার নজর রয়েছে।