গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার এক দফা দাবির প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকার দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ভারত সম্পর্কিত কূটনৈতিক অবস্থানে শক্ত অবস্থান নেয়।
এটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর প্রথম যে কোনো বাংলাদেশি সরকার ভারতের প্রতি তাদের শক্ত অবস্থান ঘোষণা করেছে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত নতজানু হতে বাধ্য হয়।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়কালে ভারত ইস্যুতে প্রথমে শেখ মুজিবুর রহমান নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন, তবে শহীদ জিয়াউর রহমান সেই অবস্থান থেকে সরে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় স্বার্থে দেশটির সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতকে সহায়তা করেছেন।
২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে দুর্বল করার চেষ্টা করেন, এবং পরবর্তী সময়ে ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের গুরত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে ভারত একচেটিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল। এর ফলে দেশব্যাপী জনমনে প্রতিবাদের সঞ্চার হয়, এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে “দেশ বিক্রি” নিয়ে সমালোচনা করা হয়।
গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পতনের পর, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার কূটনৈতিক অবস্থান, বিশেষ করে ভারত ইস্যুতে, স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন। এর ফলে ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের বিপরীতে বাংলাদেশ সরকারের শক্ত অবস্থান প্রকাশ পায়।
বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক অবস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্ত অবস্থান নিয়েছে। গত ৪ মাসে ভারত উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে, বাংলাদেশে তাদের আগ্রাসী হস্তক্ষেপ আর চলবে না। বরং, বাংলাদেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বার্থের জন্য উপকারী হবে।