কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও ভাসানচরের বাসিন্দাদের জন্য নতুন করে আশার হাত বাড়িয়ে দিল জাপান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর মাধ্যমে প্রা৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
এই সহায়তা সরাসরি কাজে লাগবে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে।
চুক্তি স্বাক্ষর: একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকায় জাপান দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাসাইদা শিনিচি এবং আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে বসবাসরত প্রায়পাঁচ ল রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণ উপকৃত হবেন।
কোন খাতে ব্যবহার হবে এই সহায়তা?
জাপানের বার্তা: সহানুভূতি আর উন্নয়নের আশ্বাস
রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন,"কক্সবাজারের ক্যাম্পে আমার প্রথম সফরের পরই এই সহায়তা চুক্তি করতে পেরে আমি আনন্দিত।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাপান সরকারের এই সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন,
"এই বিস্তৃত পরিকল্পনার মাধ্যমে কক্সবাজার এবং ভাসানচর—দুই স্থানেই মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।"
মানবিক সংকটে বিশ্ববন্ধুত্বের নজির
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার জীবনযাত্রা প্রতিনিয়তই নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
বিশ্বব্যাপী এই সংকটের সমাধানে যেসব দেশ এগিয়ে এসেছে, জাপান তাদের মধ্যে অন্যতম।
এই নতুন সহায়তা কেবল মানবিক সাহায্য নয়, এটি একটি বার্তাও—মানবিক দায়িত্বে পাশে থাকার বার্তা।