রাহাত ফতেহ আলীর সঙ্গে প্রথম দিনের আয়োজনে মাতল ঢাকা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর উদ্বোধনী আয়োজনটি সুরের তালে গানের মেতে উঠল ঢাকার দর্শকরা। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের এই আসর, যেখানে ৭টি দল চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য লড়াই করবে। বিপিএলের উন্মাদনা আরও বাড়াতে এবার বিসিবি আয়োজন করেছে তিন দিনের সংগীত উৎসব।
প্রথম দিনের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যেখানে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় এক সংগীত আনন্দ। সারা দিন ধরে খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনায় মাতেন ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা। কনসার্টের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। অন্যান্য শিল্পীরা ছিলেন রাফা, সঞ্জয়, মুজা, জেফার, র্যাপার হান্নান এবং ব্যান্ড মাইলস।
কনসার্টের শুরুতে মঞ্চে আসেন রাফা। তার গাওয়া ‘মেঘের দেশে কি এখনো তুমি হারাও আনমনে’ এবং ‘আমার হাড় কালা করলাম রে’ গানের সাথে সাথেই দর্শকরা উপভোগ করতে শুরু করেন অনুষ্ঠান। এরপর মঞ্চে আসেন সঞ্জয়, যিনি ‘বধূবেশে কন্যা যখন এল রে’ এবং ‘মা লো মা ঝি লো ঝি’ গানের ম্যাশআপ পরিবেশন করেন। সঞ্জয়ের পর মঞ্চে আসেন জেফার, যিনি ‘তোমরা দেখো গো আসিয়া কমলায় নৃত্য করে’ এবং ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায়’ গান দুটি পরিবেশন করেন। এরপর মুজা তার গানগুলো গেয়ে অনুষ্ঠানে মাতিয়ে তোলেন।
মঞ্চে ব্যান্ড মাইলস আসেন সন্ধ্যা ৭টার কিছু পর, তারা পরিবেশন করেন জনপ্রিয় গানগুলো যেমন ‘নীলা’, ‘প্রিয়তমা মেঘ’ এবং ‘পলাতক হৃদয়ে’। তাদের গান গেয়ে দর্শকরা পুরো স্টেডিয়াম গলা মিলিয়ে শামিল হন।
বিপিএলের থিম সংটি গেয়েছেন মুজা, সঞ্জয় এবং র্যাপার হান্নান, যা পরিবেশিত হয় রাত ৭টা ৪০ মিনিটে। এরপর স্টেডিয়ামে গ্রাফিতি শো, বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদর্শনী, লেজার লাইট শো এবং আতশবাজির ঝলক প্রদর্শন করা হয়, যা স্টেডিয়ামের পরিবেশকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলে।
শেষে, রাহাত ফতেহ আলী খান মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তার সুরেলা কণ্ঠে উপস্থিত দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেন। তার পরিবেশনাতে ‘আল্লাহু আল্লাহ’, ‘ও সানু এ পাল চ্যান এ না আয়ে’, ‘তাবিজ বানাকে ম্যায় পেহনু তোঝে’ সহ একাধিক হৃদয়গ্রাহী গান পরিবেশন করেন। রাহাত ফতেহ আলীর সঙ্গে তার ছেলে শাহ আজমান আলী খানও উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনি কয়েকটি গান গেয়ে মঞ্চে তার উপস্থিতি জানান দেন।
এই আয়োজনটি বিপিএলের প্রথম দিনের উৎসবকে বিশেষভাবে রাঙিয়ে তোলে এবং দর্শকদের জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকে।