বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫| রাত ৯:২৯

রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ১২, ২০২৫ ৫:৪০ অপরাহ্ণ
রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন

রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন

ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত একদিনের মার্কিন-ইউক্রেন আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ এবং দোনবাস অঞ্চলে সংঘর্ষের পর থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়। এই যুদ্ধের ফলে হাজারো বেসামরিক ও সামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন, এবং লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই প্রস্তাব রাশিয়ার কাছে উপস্থাপন করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “বল এখন তাদের কোর্টে।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জেদ্দায় “গঠনমূলক” আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমরা শান্তি চাই এবং এই যুদ্ধবিরতি সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আশা প্রকাশ করেন যে রাশিয়া এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, “আজ আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি যা ইউক্রেনীয়রা গ্রহণ করেছে, আর তা হলো যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করা এবং তাৎক্ষণিক আলোচনায় অংশ নেওয়া। আমরা এখন রাশিয়ানদের কাছে এই প্রস্তাবটি নিয়ে যাব এবং আমরা আশা করি তারা শান্তি অর্জনের বিষয়ে হ্যাঁ বলবে।”

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এই অঞ্চলের ভবিষ্যত পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই পদক্ষেপকে “শান্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” বলে অভিহিত করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোও এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে।

যদি রাশিয়া এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করে, তবে এটি উভয় দেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি হবে। এই সময়ে মানবিক সহায়তা প্রদান, পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু এবং শান্তি আলোচনার জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা যেতে পারে। তবে, পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে পারে। সুতরাং, এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। এখন রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ