বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চাইলে সংগঠনের পদ ছাড়তে হবে। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন হিসেবে রূপান্তরিত হবে না, বরং এটি থাকবে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
রিফাত রশিদ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, "আমরা সবসময় বলে আসছি যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি রাজনৈতিক পরিসর নির্মাণে কাজ করবে, কিন্তু এর নেতৃত্বে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না।" তিনি এমনও বলেন, "এই আন্দোলন একটি ‘আমব্রেলা সংগঠন’ হিসেবে কাজ করবে, যা দেশে নতুন রাজনৈতিক পরিসর গঠনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেবে।" এই ঘোষণা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, সংগঠনটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার কথা ভাবলেও, এর নিজস্ব একটি রাজনৈতিক অবস্থান থাকবে না।
এছাড়া, তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, যারা সরাসরি নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চান, তাদের অবশ্যই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালিকাভুক্ত পদ থেকে সরে যেতে হবে। তার মতে, “যাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়া উচিত, তারা যদি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে চান, তাদের এই সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তালিকা প্রকাশ করা হয়, এবং সংগঠনটির ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন এবং সামাজিক ন্যায্যতার প্রতিষ্ঠা।
এদিকে, এই ঘোষণা যে এক নতুন রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবেই দেশব্যাপী ছাত্র রাজনীতির গতিপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হতে পারে।