শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। টমেটো, গাজর, শিমসহ বেশিরভাগ সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা এবং ফুলকপি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে শবেবরাতের আগে মাংসের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
নতুন দেশি আলু ও পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। বর্তমানে নতুন সাদা আলু ২৫ টাকা, লাল আলু ২৫-৩০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চায়না আদার দামেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে। এতে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও মাংস ও মাছের দাম বাড়তি থাকায় বাজারের সামগ্রিক ব্যয়ভার এখনও কমেনি।
গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৯৩-২০০ টাকা হলেও তা ক্রেতাদের জন্য যথেষ্ট সহনীয় নয়। লেয়ার এবং দেশি মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতার কারণে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
মাছের বাজার এখনও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ইলিশ মাছ ৭০০-২২০০ টাকা, রুই ৩৫০-৫৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা এবং চিংড়ি ৮০০-১৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শবেবরাতের আগে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
মুদিপণ্যের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। সয়াবিন তেলের সংকট এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৭৫ টাকা এবং খোলা তেল ১৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ছোলার দাম কিছুটা কমে ১২০ টাকা কেজি হয়েছে।
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বিশেষ করে তেলের সাপ্লাই স্বাভাবিক করার জন্য কোম্পানিগুলোর প্রতি কড়া নজরদারি এবং ভোক্তাদের জন্য সহনীয় দামে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে মাংস ও মাছের বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।