রাজধানীতে ভোজ্যতেলের সংকট: মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহ কম
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলেও প্রতি লিটারে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সুপারশপগুলোতে তেল থাকলেও একজন ক্রেতাকে একটির বেশি কিনতে দেওয়া হচ্ছে না।
মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেটের বাজারগুলোতে সয়াবিন তেল অনুপস্থিত বা সীমিত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। খোলা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, এবং আধা লিটার বোতলের দাম ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
দোকানদারদের দাবি, সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো এক সপ্তাহ ধরে তেল দিচ্ছে না। পাইকারি বাজারেও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ক্রেতারা এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ। মিরপুরের বাজারে তেল কিনতে এসে আমেনা বেগম বলেন, “হাফ লিটার তেল পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু পুরো লিটার পাওয়া যাচ্ছে না। দামও বেশি।” সুপারশপগুলোতে তেলের সরবরাহ থাকলেও “প্রতি ক্রেতা একটি বোতল” বিধি ক্ষোভ তৈরি করেছে।
শীতের কারণে পামওয়েলের ড্রাম বা বোতলগুলো জমে যাচ্ছে। দোকানদাররা সেগুলো রোদে রেখে তরল করার চেষ্টা করছেন। তবে ক্রেতাদের মধ্যে পামওয়েল কেনার আগ্রহ কম।
ভোক্তা অধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল অভিযোগ করেছেন, ভ্যাট কমানোর পরও তেলের দাম কমছে না, বরং সরবরাহ কমিয়ে সংকট তৈরি করা হয়েছে। তিনি দ্রুত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, নইলে রমজানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
তেলের গোপন মজুদ ও অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ ওঠায় ভোক্তা অধিকার সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।