প্রথম রমজান থেকেই রাজধানীতে গ্যাস সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিকাল হলেই গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ইফতার প্রস্তুতির সময় গ্যাস না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ইফতার কিনছেন।
গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহস্থালির গ্যাস সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রে। মার্চের শুরু থেকেই গরম পড়তে শুরু করেছে, পাশাপাশি সেচ মৌসুমের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে আবাসিক খাতে সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রথম রমজানে দেশে ২ হাজার ৮৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হলেও চাহিদা ছিল ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। শুধু গতকালই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ৯১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৮৬ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি। ফলে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট প্রকট হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকেই গ্যাসের চাপ কমে আসে, বিকালে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কলাবাগানের ফাতেমা আক্তার রুনা বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় গ্যাস এলে ইফতারের আয়োজন কখন করবো?’ বনশ্রীর মিঠু আহমেদ বলেন, ‘প্রথম রোজায় কিনেই ইফতার খেতে হলো, গ্যাস এসেছে রাত ১১টায়।’
পুরান ঢাকা, রামপুরা, উলন, হাজারীবাগ, খিলগাঁও, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মানিকনগর, বাসাবোসহ আশপাশের এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান জানান, চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ মাসে ১ হাজার ৯৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও গতকাল সরবরাহ পাওয়া গেছে মাত্র ১ হাজার ৫৫৯ মিলিয়ন ঘনফুট।
তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রেও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে হচ্ছে, যাতে সেহরি, ইফতার ও তারাবির সময় লোডশেডিং না হয়। তবে বাসাবাড়িতেও সরবরাহ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।