যুদ্ধবিরতির শুভেচ্ছায় ১০ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের হেফাজতে থাকা ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে। গাজায় সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ড জানায়, “সাম্প্রতিক সংলাপের অগ্রগতিকে সম্মান ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।”
তবে হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক আলোচনার মধ্যেও এখনো গাজার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো— যেমন ত্রাণ সরবরাহ, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি— আলোচনার কেন্দ্রে আসেনি। গোষ্ঠীটি আশা করছে, এই কোর ইস্যুগুলোকে সামনে রেখেই চূড়ান্ত সমাধানের দিকে এগোবে সংলাপ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাব ঘিরে কাতারের দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে মিসর ও কাতার। হামাস এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্থায়ী সমঝোতায় রূপান্তরের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হঠাৎ আক্রমণে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়। এরপর ইসরায়েল ‘জিম্মি উদ্ধার’ ও ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ দাবি করে গাজায় হামলা শুরু করে, যাতে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
ইতিমধ্যে কয়েক ধাপে অনেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস এবং কয়েকজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে প্রায় ৫০ জন জিম্মি এখনো হামাসের হেফাজতে রয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করলেও তাদের মধ্যে জীবিত আছেন কতজন, তা নিশ্চিত নয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল দুই পক্ষ। সেই সময় হামাস ৩০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল।
সূত্র: আরটি