যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
দক্ষিণ সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন রোধে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় এক হাজার সেনা সদস্য এবং ৫০০ নৌ-বাহিনীর সদস্যকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো ও টেক্সাসের এল পাসোতে স্থানান্তরিত করা হবে।
এই সেনারা ‘সীমান্ত মিশনে’ কাজ করবে, তবে তারা সরাসরি আইন প্রয়োগের কাজে অংশ নেবে না। তাদের মোতায়েনের সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং অবৈধ অভিবাসীদের মোকাবিলা করার জন্য বেশ কয়েকটি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টারও পাঠানো হবে।
ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব রবার্ট সেলেসেস জানিয়েছেন, পাঁচ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামরিক বিমান সরবরাহ করা হবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় আরও ১,৫০০ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে বলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট নিশ্চিত করেছেন।
মিজ লেভিট বলেন, “যারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবে, তাদের কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমেরিকান জনগণ অপেক্ষা করছে এমন একটি সময়ের জন্য, যখন দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা বিভাগ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করা এবং এ ব্যাপারে তিনি কঠোর নীতি গ্রহণ করছেন। মিজ লেভিট অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, গ্রেপ্তার করা হবে, এবং তোমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এসো না।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্তে সেনা মোতায়েনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপকে সমালোচনার চোখে দেখছে এবং বলছে, এটি আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন।