যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের বর্তমান স্পিকার মাইক জনসন পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে নানা নাটকীয়তার পর তিনি এই পদে পুনঃনির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি সমর্থন পেয়েছেন জনসন, যা তাঁর জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
স্পিকার পদে পুনর্নির্বাচিত হতে জনসনের প্রয়োজন ছিল ২১৮ ভোট। তবে প্রথম দফার ভোটাভুটিতে তিনি ২১৬ ভোট পান। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হাকিম জেফরিস পান ২১৫ ভোট, এবং অন্যান্য প্রার্থীরা পান মাত্র ৩ ভোট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
দ্বিতীয় দফায় জনসন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ২১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। হাকিম জেফরিস পান ২১৫ ভোট এবং অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন মাত্র একটি ভোট পান। বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর জনসন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার এবং কংগ্রেস সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি লুইজিয়ানার প্রতিনিধি এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রথমবার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিজয়ী ভাষণে জনসন বলেন, "জো বাইডেনের গত চার বছরের দুর্বল নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে বিপজ্জনক অবস্থায় নিয়ে গেছে। আগামী কংগ্রেস আমেরিকা ফার্স্ট নীতি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।" আমেরিকা ফার্স্ট নীতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দর্শন, যা দেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেয়।
জনসনকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন, "মাইক জনসন একজন অসাধারণ স্পিকার হবেন এবং তাঁর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।"
তবে জনসনের নেতৃত্ব নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে কিছু বিভক্তি দেখা গিয়েছিল, বিশেষত বাজেট বিল পাসের সময়। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষদিকে ট্রাম্প জনসনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই বিভক্তি দূর করার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি রিপাবলিকানদের ঐক্য ধরে রাখার একটি কৌশল।