মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| ভোর ৫:৩৮

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক না উঠলে মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা, হুমকিতে পোশাক খাতের এক হাজার কারখানা

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ২০, ২০২৫ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক না উঠলে মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা, হুমকিতে পোশাক খাতের এক হাজার কারখানা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক না উঠলে মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা, হুমকিতে পোশাক খাতের এক হাজার কারখানা

যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না করলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের শুল্ক পরিশোধ করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিল্প সংশ্লিষ্ট নেতারা। তাদের মতে, এই শুল্ক অব্যাহত থাকলে দেশের প্রায় এক হাজার পোশাক কারখানা অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক খাতের নেতারা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরার জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে বিজিএমইএ নির্বাচন ২০২৫–২০২৭ উপলক্ষে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিলে তারা এসব কথা বলেন।

সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল নেতা মো. আবুল কালাম বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হওয়া নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে এই উদ্যোগের অনুরোধ জানান।”

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ঘোষণায় বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেন। এর আওতায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়। এরপর ৭ এপ্রিল ড. ইউনূস এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের অনুরোধ জানান এবং ৯ এপ্রিল ট্রাম্প চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের জন্য শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। এতে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত হয়।

তবে এই স্থগিতাদেশ স্থায়ী না হলে আবারও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পোশাক শিল্পের নেতারা। আবুল কালাম বলেন, “শুল্ক না উঠলে উদ্যোক্তাদের উপর বিশাল অর্থনৈতিক চাপ পড়বে। প্রতি মাসে গড়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের শুল্ক দিতে হবে, অথচ লাভ থাকে ৩-৪ শতাংশ। এতে টিকতে পারবে না অনেক কারখানা।”

তিনি আরও বলেন, ক্রেতাদের উপর শুল্কভার চাপানোর নিয়ম থাকলেও, বাস্তবতা হলো সরবরাহকারীদেরই এর বেশিরভাগ বোঝা বহন করতে হচ্ছে। তাই শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী ফারুক হাসান, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য আসিফ আশরাফ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেছেন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেছেন

ইউরোপেই থাকবে ইউরোপীয় গ্রাহকের তথ্য: তথ্য সুরক্ষায় মাইক্রোসফটের নতুন পদক্ষেপ

ইউরোপেই থাকবে ইউরোপীয় গ্রাহকের তথ্য: তথ্য সুরক্ষায় মাইক্রোসফটের নতুন পদক্ষেপ

বাসযোগ্য নগর গড়তে বনভিত্তিক পরিবেশের গুরুত্বের কথা বললেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাসযোগ্য নগর গড়তে বনভিত্তিক পরিবেশের গুরুত্বের কথা বললেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ডায়াবেটিসে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

ডায়াবেটিসে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দুই বাংলাদেশি আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দুই বাংলাদেশি আহত

আজকের মুদ্রার হার (২৯ জুন, ২০২৫)

আজকের মুদ্রার হার (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)

ইতিহাসের এই দিনে (৩০ জুন, ২০২৫)

ইতিহাসের এই দিনে (২৬ মার্চ, ২০২৫)

বাশারের পতনে সবচেয়ে বড় বিজয় হলো তুরস্ক

আজ শুভ বড়দিন

আজ শুভ বড়দিন