সোমবার, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ১২:৫৫

যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি সময় ফিরিয়ে দিতে কানাডার সহায়তার আশ্বাস

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি সময় ফিরিয়ে দিতে কানাডার সহায়তার আশ্বাস

যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি সময় ফিরিয়ে দিতে কানাডার সহায়তার আশ্বাস

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার সুর নরম করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির মুখে এতদিন পাল্টা শুল্কের হুমকি দিলেও এবার তিনি জানান, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি সময় ফিরে পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

গত সোমবার শপথ নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সোনালি সময় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রুডো বলেন, বর্তমান অনিশ্চিত বিশ্বে কানাডা একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে কাজ করতে পারে।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বারবার বলেছেন, চীন, কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যে শুল্ক আরোপ করবেন। শপথ নেওয়ার পর তিনি ঘোষণা দেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।

এই ঘোষণার পর কানাডাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে—তারা প্রতিশোধমূলক নীতি নেবে নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে শান্ত করার চেষ্টা করবে। আপাতত ট্রুডোর কৌশল ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ করার দিকে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তবে কানাডা পাল্টা পদক্ষেপের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্লোরিডার জুসের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা এর আগেও সফল কৌশল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে ট্রাম্প কানাডার ঠিক কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ফলে কানাডা একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। দেশটির প্রশাসনও পাল্টা ব্যবস্থার বিষয়ে দ্বিধায় ভুগছে।

ট্রুডো বলেছেন, সব পথ খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি রপ্তানিতে কর আরোপ বা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তবে অ্যালবার্টা রাজ্যপ্রধান ড্যানিয়েল স্মিথ এই নীতির বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, তেলকে দর-কষাকষির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

গত মঙ্গলবার একটি বক্তব্যে ট্রুডো কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও এমন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে তখন কানাডা এটি গঠনমূলকভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছিল।

বাস্তবতা হলো, বাণিজ্যে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। কানাডার ৭৫ শতাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে যায়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ১৭ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য কানাডা। এই ভারসাম্যহীনতার কারণে ট্রুডোর জন্য পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ