যুক্তরাজ্য সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া নিয়ে ইউনূসের ব্যাখ্যা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে ইউনূস জানান, তিনি নিজে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন এবং বৈঠক হলে সেটিকে ‘খুব আনন্দের বিষয়’ হিসেবে দেখতেন। তবে সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণ হিসেবে ইউনূস ধারণা করছেন, স্টারমার হয়তো ব্যস্ত ছিলেন অথবা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “এটি আমার জন্যও এক দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন তিনি ব্যস্ত, আমি তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাই। তখন আমাদের হাতে সময় থাকবে এবং আমরা বাংলাদেশে কী করছি, তা দেখাতে পারবো।”
বিবিসি যখন সরাসরি জানতে চায়, একজন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়াটা কতটা হতাশাজনক, তখন ইউনূস বলেন, “আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিত, না তার হতাশ হওয়া উচিত। সুযোগটা কোন কারণে হাতছাড়া হয়ে গেছে, সেটা আমি জানি না।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেন সাক্ষাতের আয়োজন করলেন না— এই প্রশ্নে ইউনূস জানান, তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা পাননি এবং সম্ভবত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পরিবেশ ও প্রকৃতির প্রতি অবদানের জন্য অধ্যাপক ইউনূস ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতে গত ১২ জুন যুক্তরাজ্যে যান। সে সময় বিবিসির সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন তার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন, যা সম্প্রচারিত হয়েছে বিবিসির ‘দ্য ওয়ার্ল্ড টুনাইট’ অনুষ্ঠানে। এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে দুদকের তদন্ত এবং যুক্তরাজ্যের সহায়তা কমে যাওয়ার বিষয়েও প্রশ্ন আসে।
সাক্ষাৎকারে ইউনূস বারবার বাংলাদেশকে ‘এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পথে থাকা দেশ’ হিসেবে তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করবেন।