মৃত জিম্মিদের মরদেহ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আগামী বৃহস্পতিবার পাঁচ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত পেতে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে এ মরদেহগুলো গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম কান পাবলিক ব্রডকাস্টার এই তথ্য জানিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ৩৩তম দিনে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে, যা হিসেব মতে এই বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হামাসের বন্দিদশায় থাকা অবস্থায় এসব জিম্মি মারা গেছেন, তবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। হামাসের দাবি, দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার হামলায় বেশিরভাগ জিম্মি নিহত হয়েছেন।
হামাসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলকে মৃত জিম্মিদের নাম জানানো হবে। এরপর মরদেহগুলো গাজা থেকে ইসরায়েলে পৌঁছালে সেগুলো সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পরিচয় নিশ্চিত করার পরই পরিবারগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হবে।
যদিও কান পাবলিক ব্রডকাস্টার পাঁচজন জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের ওয়াল্লা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস চারটি মরদেহ ফেরত দেবে। এ নিয়ে চূড়ান্ত সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো মন্তব্য এখনো আসেনি।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে চুক্তির আওতায় বৃহস্পতিবার মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত পাঠানোর পর, শনিবার তিনজন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত বাস্তবায়নের এ প্রক্রিয়া দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখনো অনিশ্চিত।